Concept of Digital Communication Technology System
কমিউনিকেশন সিস্টেমের ধারণা :
এক পক্ষ হতে অন্য পক্ষে কোনো মাধ্যম দ্বারা তথ্য প্রবাহের প্রক্রিয়াকে কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ বলা হয়। কমিউনিকেশন হলো মেসেজ প্রেরণ ও গ্রহণের ক্ষমতা। যে ব্যক্তি নিজের চিন্তাভাবনা ও আইডিয়াগুলোকে অন্যদের সাথে শেয়ার করার জন্য তাদের কাছে তথ্যকে পাঠিয়ে দিলেন তিনি হলেন সেন্ডার বা প্রেরণকারী (প্রথম পক্ষ)। যে ব্যক্তি প্রেরণকারীর কাছ থেকে তথ্যটি গ্রহণ করলেন, সে অনুযায়ী সাড়া দিলেন ও ফিডব্যাক পাঠালেন তাকে রিসিভার বা গ্রহণকারী (দ্বিতীয় পক্ষ) বলা হয়
একটি কমিউনিকেশন সিস্টেমে সাধারণত তিনটি অংশ পাওয়া যায়। এগুলো হলো :
ক. প্রেরণকারী বা সেন্ডার (Sender)
খ. গ্রহণকারী বা রিসিভার (Receiver)
গ. মাধ্যম (Media)
সেন্ডার
মিডিয়া
রিসিভার
উপরের আলোচনায় প্রেরণকারী এবং গ্রহণকারী সম্পর্কে আমরা জেনেছি। কমিউনিকেশন সিস্টেমের ৩য় অংশ অর্থাৎ মাধ্যম হলো এমন একটি দৃশ্যমান বা অদৃশ্যমান বহনকারী যা বক্তার মেসেজটি বহন করে নিয়ে গিয়ে প্রেরকের কাছে প্রদান করে। মাধ্যম ব্যতীত কোনো ধরনের কমিউনিকেশন সিস্টেম সম্ভব নয়।
Procession of Digital Communication System
আধুনিক টেলিকমিউনিকেশন্স এর ধারণা
আগে টেলিফোনই একমাত্র টেলিযোগাযোগ যন্ত্র থাকলেও পরবর্তীতে তারবিহীন বার্তা প্রেরণ বা বেতার টেলিযোগাযোগ আবিষ্কার হয়েছে, যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ রেডিও । বর্তমানে ইলেকট্রনিক ট্রান্সমিটার ব্যবহার করে তড়িৎ চুম্বক তরঙ্গের সাহায্যে যোগাযোগ প্রক্রিয়া এক অত্যাধুনিক পর্যায়ে পৌঁছেছে যা আধুনিক টেলিকমিউনিকেশন্স নামে বিশ্বব্যাপী পরিচিত ও বিস্তৃত। টেলিকমিউনিকেশনে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রকে পরস্পরের সাথে
সংযুক্ত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্ক রয়েছে। টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার মূল তিনটি অংশ রয়েছে। এগুলো হলো
* ট্রান্সমিটার বা প্রচারযন্ত্র : এটি বার্তাকে প্রচার উপযোগী সংকেতে পরিণত করে। ট্রান্সমিশন মিডিয়া বা প্রচার মাধ্যম : এর মধ্য দিয়ে সংকেত বা
সিগন্যাল পাঠানো হয়। যেমন- বায়ু।
রিসিভার বা গ্রাহকযন্ত্র : এটি সংকেত গ্রহণ করে এবং সংকেতকে ব্যবহারযোগ্য বার্তায় পরিবর্তন করে ।
উদাহরণস্বরূপ বেতার সম্প্রচারের কথা বলা যায়। এক্ষেত্রে, সম্প্রচার টাওয়ারটি হলো ট্রান্সমিটার, রেডিও হলো রিসিভার এবং প্রচার মাধ্যম হলো বায়ু। অনেক ক্ষেত্রেই টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা দ্বিমুখী যোগাযোগ রক্ষা করে এবং একই যন্ত্র ট্রান্সমিটার ও রিসিভার হিসেবে কাজ করে। এগুলোকে বলা হয় ট্রান্সিভার। যেমন মোবাইল ফোন একটি ট্রান্সিভার। ফোনের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগকে বলা হয় পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট যোগাযোগ। কারণ এক্ষেত্রে একটিমাত্র ট্রান্সমিটার ও রিসিভারের মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হচ্ছে। তারবিহীন তথা বেতার সম্প্রচারের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগকে বলা হয় ব্রডকাস্ট (সম্প্রচার)।

